Khorer Gombuz - Al Mahmud - খড়ের গম্বুজ – কবি আল মাহমুদ



কে জানে ফিরলো কেন? তাকে দেখে

কিষাণেরা অবাক সবাই।

তাড়াতাড়ি নিড়ানির স্তূপাকার জঞ্জাল সরিয়ে

শস্যের শিল্পীরা এসে আলের ওপরে কড়া তামাক সাজলো।

একগাদা বিচালি বিছিয়ে দিতে দিতে

কে যেন ডাকলো তাকে, সস্নেহে বললো, বসে যাও-

লজ্জার কি আছে বাপু, তুমি তো গাঁইয়েরই ছেলে বটে

আমাদেরই লোক তুমি। তোমার বাপের

মারফতির টান শুনে বাতাস বেহুঁস হয়ে যেতো।

পুরোনো সে কথা উঠলে এখনও দহলিজে

সমস্ত গাঁয়ের লোক নরম, নীরব হয়ে শোনে।

সোনালি খড়ের স্তূপে বসতে গিয়ে

প্রত্যাগত পুরুষ সে-জন

কী মুষ্কিল! দেখলো যে, নগরের নিভাঁজ পোশাক

খাঁমচে ধরছে হাঁটু। ঊরতের পেশী থেকে সোজা

অতদূর কোমর অবধি

সম্পূর্ণ যুবক যেন বন্দী হয়ে আছে এক নির্মম সেলাইয়ে।

যা কিনা এখন তাকে স্বজনের সাহচর্যে, আর

দেশের মাটির বুকে, অনায়াসে

বসতেই দেবে না।

তোমাকে বসতে হবে এখানেই, এই ঠান্ডা

ধানের বাতাসে।

আদরে এগিয়ে দেওয়া হুঁকোটাতে সুখটান মেরে

তাদের জানাতে হবে কুহুলি পাখির পিছু পিছু

কতদূর গিয়েছিলে পার হয়ে পানের বরোজ!

এখন কোথায় পাখি? একাকী তুমিই সারাদিন

বিহঙ্গ…….বিহঙ্গ বলে অবিকল পাখির মতন

চঞ্চুর সবুজ লতা রাজপথে হারিয়ে এসেছো!

অথচ পাওনি কিছু, না-ছায়া না-পল্লবের ঘ্রাণ

কেবল দেখেছো শুধু কোকিলের ছদ্মবেশে সেজে

পাতার প্রতীক আঁকা কাইয়ুমের প্রচ্ছদের নিচে

নোংরা পালক ফেলে পৌর-ভাগাড়ে ওড়ে নগর-শকুন।কে জানে ফিরলো কেন? তাকে দেখে

কিষাণেরা অবাক সবাই।

তাড়াতাড়ি নিড়ানির স্তূপাকার জঞ্জাল সরিয়ে

শস্যের শিল্পীরা এসে আলের ওপরে কড়া তামাক সাজলো।

একগাদা বিচালি বিছিয়ে দিতে দিতে

কে যেন ডাকলো তাকে, সস্নেহে বললো, বসে যাও-

লজ্জার কি আছে বাপু, তুমি তো গাঁইয়েরই ছেলে বটে

আমাদেরই লোক তুমি। তোমার বাপের

মারফতির টান শুনে বাতাস বেহুঁস হয়ে যেতো।

পুরোনো সে কথা উঠলে এখনও দহলিজে

সমস্ত গাঁয়ের লোক নরম, নীরব হয়ে শোনে।

সোনালি খড়ের স্তূপে বসতে গিয়ে

প্রত্যাগত পুরুষ সে-জন

কী মুষ্কিল! দেখলো যে, নগরের নিভাঁজ পোশাক

খাঁমচে ধরছে হাঁটু। ঊরতের পেশী থেকে সোজা

অতদূর কোমর অবধি

সম্পূর্ণ যুবক যেন বন্দী হয়ে আছে এক নির্মম সেলাইয়ে।

যা কিনা এখন তাকে স্বজনের সাহচর্যে, আর

দেশের মাটির বুকে, অনায়াসে

বসতেই দেবে না।

তোমাকে বসতে হবে এখানেই, এই ঠান্ডা

ধানের বাতাসে।

আদরে এগিয়ে দেওয়া হুঁকোটাতে সুখটান মেরে

তাদের জানাতে হবে কুহুলি পাখির পিছু পিছু

কতদূর গিয়েছিলে পার হয়ে পানের বরোজ!

এখন কোথায় পাখি? একাকী তুমিই সারাদিন

বিহঙ্গ…….বিহঙ্গ বলে অবিকল পাখির মতন

চঞ্চুর সবুজ লতা রাজপথে হারিয়ে এসেছো!

অথচ পাওনি কিছু, না-ছায়া না-পল্লবের ঘ্রাণ

কেবল দেখেছো শুধু কোকিলের ছদ্মবেশে সেজে

পাতার প্রতীক আঁকা কাইয়ুমের প্রচ্ছদের নিচে

নোংরা পালক ফেলে পৌর-ভাগাড়ে ওড়ে নগর-শকুন।

No comments:

Post a Comment