Progressive Web Apps কি এবং React or Next js এ কিভাবে করতে হয়?

Progressive Web Apps কি এবং React or Next js এ কিভাবে করতে হয়?

 

আমরা ব্রাউজার দিয়ে YouTube, Facebook ব্রাউজ করার সময় দেখি যে উপরে url এর ডান সাইটে ডাউনলোড করার জন্য একটা বাটন দেখায়। যেটায় ক্লিক করলে আপনার কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোনে ঐ ওয়েব সাইটের একটা এপ ইন্সটল হয় যেটা ঠিক এন্ড্রয়েড এপ না, শুধু মাত্র ওয়েব সাইটের মোবাইল ভিউ।

এটা React js অথবা Next js এর Page Router এ কোন প্রকার আলাদা প্যাকেজ ব্যবহার করা ব্যতীত কিভাবে করা যায় সেটা দেখাবো।

React js এর index.html ফাইল এবং Next js এর index.js ফাইল যে <head></head> ট্যাগ থাকে এটা নিয়ে মূলত আমাদের কাজ।

চলুন কথা আর না বাড়িয়ে কাজে নেমে পড়া যাকঃ

১। প্রথমে আমাদের ওয়েব সাইট এর যে Logo আছে সেটার কয়েকটা সাইজ বানিয়ে নেই। এর জন্য আপনি এই ওয়েবসাইট এ যেতে পারেন।

২। এখন Select your Favicon image এ ক্লিক করে আপনার Logo আপলোড করুন। ধৈর্য থাকলে যে অপশন গুলা আছে পড়ে দেখতে পারেন। ব্রাউজারের darklight mood কেমন দেখাবে সেটা দেখানো আছে। এরপর Mobile phone এ App Icon কেমন হবে সেটা দেখানো হয়েছে। Windows এবং Mac এ কেমন দেখাবে সেটা দেখানো হয়েছে। আপনি background Color পরিবর্তন করেও দেখতে পারেন কেমন দেখায়।

৩। এবার নিচের দিকে Generate your Favicons and HTML code এ ক্লিক করে অপেক্ষা করুন।

৪। জেনারেট হয়ে গেলে HTML5 format এ ডাউনলোড করুন। (আমি অন্য গুলা কখনো ব্যবহার করি নাই। আপনি করলে আমাকে আপনার অভিজ্ঞতা জানাতে পারেন।)



৫। টাকা পয়সা থাকলে ওয়েব সাইট এ কিছু দান করতে পারেন। এমন উপকারী ওয়েব সাইট বানানোর জন্য কিছু তো তিনি পেতেই পারেন 😊

৬। এখন zip ফাইল টা Extract করুন। কোন কোড এডিটর থেকে Folder টি ওপেন করুন।

Page Route

৭। icons নামে একটা ফোল্ডার তৈরি করুন । site.webmanifest ব্যতীত বাকি সব কিছু icons ফোল্ডারের মধ্যে পাঠিয়ে দিন। এখন site.webmanifest কে রিনেম করে manifest.json করুন। manifest.jsonFile এ সব গুলা আইকোনের লিংক করুন।


short_name টা মোবাইল ফোনে ইন্সটল করার পর এই নাম টা দেখাবে। name টা আপনার ওয়েব সাইটের নাম দিবেন। theme_color এবং background_color দেখবেন কোনটা দিলে ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়। আমি সব কিছু সাদা দিয়ে রেখেছি কারন লগোর রঙ গোল্ডেন।

icons ফোল্ডারের মধ্যে থাকা favicon.ico, apple-touch-icon.png দুইটাকে কপি করে বাইরে নিয়ে আসুন। ফোল্ডার স্ট্রাকচারঃ

public/

┣ icons/

┃ ┣ android-chrome-192x192.png

┃ ┣ android-chrome-384x384.png

┃ ┣ apple-touch-icon.png

┃ ┣ browserconfig.xml

┃ ┣ favicon-16x16.png

┃ ┣ favicon-32x32.png

┃ ┣ favicon.ico

┃ ┣ mstile-150x150.png

┃ ┗ safari-pinned-tab.svg

┣ apple-touch-icon.png

┣ favicon.ico

┣ logo.png

┗ manifest.json


এখন favicon folder মধ্যে থাকা সব কিছু কপি করে আপনার প্রোজেক্ট এর পাবলিক ফোল্ডারে paste করে দেন ।

৮। এইবার আপনার React js এর index.html ফাইল এবং Next js এর index.js ফাইল যে <head></head> ট্যাগ এর মধ্যে favicon.ico, apple-touch-icon.png, manifest.json কে লিংক করতে হবে।


৯। কাজ শেষ। এবার এপ রান করে ব্রাউজারে যেয়ে দেখবেন এমন একটা আইকোন দেখাবে যেটাতে ক্লিক করলে ইন্সটল হবে। Inspect element এ যেয়ে Lighthouse এ চেক করলে pwa তে দেখবেন গ্রিন টিক আসছে।


ফলাফল


root layout এ


Video Tutorial:

নোটঃ আমার কাছে Next js শুধু মাত্র ফ্রন্ট ইন্ডে ব্যবহার করতে ভালো লাগে। আমার লেখা কেমন লেগেছে আপনার কাছে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!

Product List of Bangladeshi Product - বাংলাদেশী পণ্যের তালিকা

 

আমাদের দেশের পণ্য যদি আমরা ব্যবহার না করি তাহলে কিন্তু কেউ ব্যবসা করতে চাইবে না বা চাইলেও পারবে না। 
তেমনি দরকারি সময়েও হাতের লাগালে বিদেশী পণ্য পাওয়া যায় না। এটা করোনার সময়ে যদি আপনি বাংলাদেশে বসবাস করে থাকেন তাহলে বুঝতে পারা উচিত। 

এখন দেশী পণ্য বিদেশী পণ্যের বিপরীতে নাই কেন? ভালো প্রশ্ন। 
ধরুন আপনি দেশীয় গরুর চামড়া দিয়ে জুতা বানানো শুরু ক্রুলেন বিক্রির জন্য কিন্তু মান ভালো হওয়া সত্ত্বেও কেন কিনছে না। প্রচারের অভাব? নাহ মার্কেটিং ঠিক ঠাক মতই করার পরেও হচ্ছে না বা আশানুরুপ হচ্ছে না তাহলে বিনা লাভে কত বছর আপনি ঐ ব্যবসার উপর ইনভেস্ট করে চলবেন? 


কিন্তু মানুষ যদি আপনার প্রোডাক্ট ব্যবহার করত এবং ভালো খারাপ ফিডব্যাক দিতো এবং আপনি সেটাকে ভালোভাবে নিয়ে কাজে লাগাতে পারতেন এবং আস্তে আস্তে আমাদের দেশ স্বনির্ভর হওয়ার পথে এগিয়ে যেত। এমন কি আপনাকে দেখে আরো অনেক মানুষ ব্যবসা করতে উদ্ভূত হত। 

যেটা নিঃসন্দেহে ভালো দিক। চাকরি কেন্দ্রিক পড়ালখা মোটেও ভালো না। ইংরেজ রা আমাদের দেশে আসার আগে এই দেশের শতকরা ৫৪ শতাংশ মানুষ উদ্যোক্তা ছিল বাকি ৪৬ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভর ছিল। নিচের এই ভিডিওটি দেখার অনুরোধ রইলঃ

বাংলাদেশী পণ্য

সয়াবিন তেলঃ পুষ্টি/ ফ্রেশ/ তীর/ বসুন্ধরা নারিকেল তেলঃ জুই/ গন্ধরাজ/ তিব্বত/ কিউট/ নারিকেল কিনে নিজে বানাবেন ডিটারজেন্ট পাওডার বা গুড়া সাবানঃ কেয়া/ তিব্বত/ ফাস্ট ওয়াস শ্যাম্পুঃ রিভাইব/ কিউট/ সিলেক্টপ্লাস/ আর্নিকাপ্লাস/জার্মানিল/ সিগনেচার/ প্রাকিতিক সাদামাটি বিউটিসোপঃ কেয়া/ তিব্বত/স্যান্ডালিনা/মেরিল/ হাবিব/ কসকো লন্ড্রী সোপঃ কেয়া/ তিব্বত/চাকা/ প্রাকিতিক রিটি ফল কোমল পানিঃ ক্লেমন/ মোজো/ ফ্রেশ / আরসি/ ডাব/ পানির সাথে লেবু বা তেঁতুল স্যনিটারি ন্যাপকিন বা প্যাডঃ সেনোরা/ জয়া/ কনফিডেন্স/ফ্রিডম টুথপেস্টঃ মেডিপ্লাস/ ব্রাশআপ/ ম্যজিক/ হোয়াটপ্লাস/ কয়লারগুড়া/ ছাই/ আম পাতা টুথব্রাশঃ ম্যাটাডোর/ প্রাকৃতিক দাতন যেমন নিম বা জয়তুন পটাটো চিপসঃ বোম্বে/ বিডি/ আকিজ/ বাড়িতে আলু ভাজবেন হ্যান্ড স্যানিটাইজারঃ সেপনিল/ হ্যান্ডসেফ/ হ্যান্ডসেন/ শুকনা মাটি/ ছাই/লেবুর রস জুসঃ ডাব/আখের রস/ফ্রুটিকা/সজিব/একমি/এসএমসি/ বাড়িতে বিভিন্ন দেশী ফল বেলেন্ড করবেন চাঃ ইস্পাহানি/বসুন্ধরা/ কাজি কাজি নুডুলসঃ কোকোলা/ বসুন্ধরা/ চপস্টিক/ সজিব লিপজেল এবং ক্রীমঃ কিউট/ তিব্বত/ কেয়া/ মেরিল নীলঃ চমক এয়ার ফ্রেশনারঃ এ্যানজেলিক/ গ্রিন টাচ/ অর্কিড/ ফ্যন্টাস্টিক / ফে কলম/পেন্সিল/স্টাপ্লার ও পিনঃ ফ্রেশ/ইকোনো/ম্যাটাডোর সরিষার তেলঃমদিনা/সুরেশ/ বসুন্ধরা/পিউর/সরিষা কিনে নিজে তৈরী করবেন মোবাইল সিমঃ টেলিটক ট্যালকাম পাওডারঃ তিব্বত/ আইসকুল/কিউট/ মিল্লাত/ চাঁদনী/ রিভাইব এ্যরোসল/ মশার কয়েলঃ এসিআই/ এক্সপেল/ রকেট/ ঈগল/প্রাকৃতিক নাড়া পল বা অন্য কিছু দিয়ে ধোঁয়া করবেন টয়লেট বা বাথরুম ক্লিনারঃ শক্তি/ক্লিন মাস্টার/ হাইজিন/ লেবুর রস ছাই থালা বাসন মাজাঃ লেবুপ্লাস/লেবুর রস/ ছাই/শুকনা মাটি ডায়াপারঃ ফ্রেশ/ বসুন্ধরা/সুপার মম/সন্তানের প্রতি মহাব্বত ও পরিবেশের জন্য মায়েরা কাঁথা বানান লবনঃ মোল্লা/ মধুমতি/ ফ্রেশ/ বসুন্ধরা/ কনফিডেন্স/এসিআই পারফিউমঃ কুল /এ্যলকোহল মুক্ত দেশী আতর (সিলেটে আগর কাঠের সুগন্ধি পাওয়া যায় যেটার আরব বিশ্বে রপ্তানি হয়) সেমাইঃ বনফুল/বিডি/ঢাকা গুড়াদুধঃমার্কস/ ফ্রেশ/ পিউর/ পারলে গরু বা ছাগলের দুধ ব্যবহার করুন শাড়িঃ রাজশাহী সিল্ক/ টাঙ্গাইলের জামদানি/ তাঁতের শাড়ি পানঞ্জাবী/টি শার্ট বা গেঞ্জিঃ খাদি পাঞ্জাবী/শৈল্পিক রংঃ মুনস্টার, ডানলপ টিস্যুঃ ফ্রেশ/ বসুন্ধরা ইলেকট্রিক পণ্যঃ যমুনা/ওয়ালটন কম্পিউটারঃ জাদু পিসি জুতাঃ আফজাল / লিবার্টি/ বিউটি/ পায়ে পায়ে আটাঃ তীর/ ফ্রেশ/ বসুন্ধরা/ নাভানা/ গম বা চাল গুড়া করে নিজেরা বানান বিস্কুটঃ হক / রিদিশা/ অলিম্পিক/ বেঙ্গল/ আকিজ সিমেন্টঃ ফ্রেশ/ বসুন্ধরা/ আকিজ/ এ্যলিফেন্ট/ কিংব্রান্ড প্রিন্টিং কাগজঃ বসুন্ধরা/ ফ্রেশ পানিঃ মাম/ ডৈইলি/ফ্রেশ/স্পা/নিজেরা ঘরে পানি কয়লা,বালি,ফিটক্ দিয়ে বা ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করুন চকলেটঃ মিমি চকলেট
- যে কোন পণ্য কেনার পূর্বে নিশ্চিত হোন সে পণ্য আপনার দেশের আছে কিনা । দেশী পণ্য কেনা আপনার নৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় কর্তব্য । বিক্রেতারা ক্রেতাকে দেশী পণ্য দিন ও কিনতে উদ্ভুদ করুন । আপনার জানা বাংলাদেশী পণ্য এই তালিকায় থাকলে কমেন্ট এ বলতে পারেন
#Boycott_Indian_products #BoycottIndianProducts #BoycottCocaCola #BoycottIsrailProduct
#BoycottIndia
#Boycott_India

Story of The Tortoise and The Hare - কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প

Story of The Tortoise and The Hare - কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প 


 

Story of The Tortoise and The Hare - কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প


কচ্ছপ আর খরগোশের গল্পটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা গল্পের শুধু প্রথম অংশটাই পড়েছি।

আপনি কি জানতেন যে, এই গল্পের আরো ৩ টি অধ্যায় আছে! যা হয়তো আমরা কেউ কেউ পড়েছি বা শুনেছি, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই পড়িনি।


গল্পের বাকি অংশটুকু এবার জেনে নিন


🔰১ম অংশ:

এই অংশটা আমরা ছোটবেলায় বইয়ে পড়ছি। এখানে খরগোশ ঘুমিয়ে যায়, আর কচ্ছপ জিতে যায়। প্রথমবার হেরে যাওয়ার পর খরগোশ বিশ্লেষণ করে দেখল তার পরাজয়ের মূল কারণ 'অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।' তারমানে অতি আত্মবিশ্বাস যে কারো জন্যই ক্ষতিকর। আর কচ্ছপ বুঝল, লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই!


🔰২য় অংশ:

হেরে যাওয়ার পর এবার খরগোশ আবারো কচ্ছপকে দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ করল আর কচ্ছপও রাজী হল।


এবার খরগোশ না ঘুমিয়ে দৌড় শেষ করল এবং জয়ী হল। খরগোশ বুঝল, মন দিয়ে নিজের সামর্থের পুরোটা দিয়ে কাজ করলে দ্রুত সফল হওয়া যায়।


আর কচ্ছপ বুঝল, ধীর স্থির ভাবে চলা ভালো, তবে কাজে উপযুক্ত গতি না থাকলে প্রতিযোগীতা মূলক পরিবেশে জয়ী হওয়া অসম্ভব!


🔰৩য় অংশ:

কচ্ছপ এবার খরগোশকে আরেকবার দৌড় প্রতিযোগিতার আমন্ত্রন জানালো। খরগোশও নির্দিধায় রাজী হয়ে গেল। তখন কচ্ছপ বলল, "একই রাস্তায় আমারা ২ বার দৌড়েছি, এবার অন্য রাস্তায় হোক।" খরগোশও রাজী। অতএব নতুন রাস্তায় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হল।


যথারীতি খরগোশ জোরে দৌড় শুরু করে দিল। কচ্ছপও তার পিছন পিছন আসতে শুরু করল। কচ্ছপ যখন খরগোশ এর কাছে পৌঁছাল, দেখল খরগোশ দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দৌড়ের শেষ সীমানায় যেতে পারেনি।


কারণ দৌড়ের শেষ সীমানার আগে একটি খাল আছে। কচ্ছপ খরগোশ এর দিকে একবার তাকালো, তারপর তার সামনে দিয়ে পানিতে নেমে খাল পার হয়ে দৌড়ের শেষ সীমানায় পৌছে প্রতিযোগিতা জিতে গেল।


খরগোশ বুঝল, শুধু নিজের শক্তির উপর নির্ভর করলেই হবে না, পরিস্থিতি আর বাস্তবতা অনুধাবন করাও ভীষণ প্রয়োজনীয়! আর কচ্ছপ বুঝল, প্রথমে প্রতিযোগীর দূর্বলতা খুজে বের করতে হবে, তারপর সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।


গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়‼️


🔰চতুর্থ অংশ:

এবার খরগোশ কচ্ছপকে আরেকটি দৌড় প্রতিযোগিতার জন্য আহবান জানালো এই একই রাস্তায়। কচ্ছপ ও রাজী। কিন্তু এবার তারা ঠিক করল, প্রতিযোগী হিসেবে নয়, বরংএবারের দৌড়টা তারা দৌড়াবে সহযোগী হিসেবে!


শুরু হল প্রতিযোগিতা। খরগোশ কচ্ছপকে পিঠে তুলে দৌড়ে খালের সামনে গিয়ে থামলো।এবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠ থেকে নেমে খরগোশকে নিজের পিঠে নিয়ে খাল পার হল।তারপর আবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠে উঠে বাকী দৌড় শেষ করল আর এবার তার দু জনই একসাথে জয়ী হল।


📚এখান থেকে আমরা আসলে কি শিখলাম?


আমরা শিখলাম, ব্যক্তিগত দক্ষতা থাকা খুবই ভালো। কিন্তু দলবদ্ধ হয়ে একে অপরের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আসে সত্যিকারের সাফল্য যেখানে সবাই বিজয়ীর হাসি হাসতে পারে।


আপনি কি এই গল্পটার পুরোটা আগে জানতেন? মজার এই গল্পটি শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন


আরেকটু দাঁড়ান


আপনাদের মধ্যে বই পড়তে পছন্দ করেন কারা? তাঁদের জন্য গ্রন্থ ভুবনে চলছে ''অর্ধেক দামে নতুন বই কিনুন অফার"


এই সুবর্ণ সুযোগ মিস করবেন না যেন! অফার তালিকা কমেন্ট বক্সে দেখুন❤️🔰🔰


গল্প থেকে তো বুঝতেই পারলেন, বেশি দেরি করলে কিন্তু ঠকতে হবে



How to Set Marquee Effect or Infinite Carousel on Testimonial Card in React Next js 14


How to Set Marquee Effect or Infinite Carousel on Testimonial Card in React Next js 14




আমরা পোর্টফোলিও ওয়েব সাইট হোক সেটা নিজের ব্যক্তিগত অথবা কোম্পানির মারকিউ ইফেক্ট টা কাজে লাগেই। HTML 4 এ ডিফল্ট এই ফিচার টা থাকলেও এখন এটা সি এস এস অথবা বিভিন্ন প্যাকেজ ব্যবহার করে করতে হয়। 

অনেক সময় যে সমস্যা হয়, প্যাকেজ ব্যবহার করলে অনেক বেশি সি এস এস প্রজেক্ট এ যুক্ত হয়ে যায় যার জন্য লোডিং টাইম বেড়ে যায় এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। 

এর জন্য আমি চেষ্টা করি যত কম প্যাকেজ ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় কাজ সমাধান করা যায় ততই ভালো। 

Khorer Gombuz - Al Mahmud - খড়ের গম্বুজ – কবি আল মাহমুদ



কে জানে ফিরলো কেন? তাকে দেখে

কিষাণেরা অবাক সবাই।

তাড়াতাড়ি নিড়ানির স্তূপাকার জঞ্জাল সরিয়ে

শস্যের শিল্পীরা এসে আলের ওপরে কড়া তামাক সাজলো।

একগাদা বিচালি বিছিয়ে দিতে দিতে

কে যেন ডাকলো তাকে, সস্নেহে বললো, বসে যাও-

লজ্জার কি আছে বাপু, তুমি তো গাঁইয়েরই ছেলে বটে

আমাদেরই লোক তুমি। তোমার বাপের

মারফতির টান শুনে বাতাস বেহুঁস হয়ে যেতো।

পুরোনো সে কথা উঠলে এখনও দহলিজে

সমস্ত গাঁয়ের লোক নরম, নীরব হয়ে শোনে।

সোনালি খড়ের স্তূপে বসতে গিয়ে

প্রত্যাগত পুরুষ সে-জন

কী মুষ্কিল! দেখলো যে, নগরের নিভাঁজ পোশাক

খাঁমচে ধরছে হাঁটু। ঊরতের পেশী থেকে সোজা

অতদূর কোমর অবধি

সম্পূর্ণ যুবক যেন বন্দী হয়ে আছে এক নির্মম সেলাইয়ে।

যা কিনা এখন তাকে স্বজনের সাহচর্যে, আর

দেশের মাটির বুকে, অনায়াসে

বসতেই দেবে না।

তোমাকে বসতে হবে এখানেই, এই ঠান্ডা

ধানের বাতাসে।

আদরে এগিয়ে দেওয়া হুঁকোটাতে সুখটান মেরে

তাদের জানাতে হবে কুহুলি পাখির পিছু পিছু

কতদূর গিয়েছিলে পার হয়ে পানের বরোজ!

এখন কোথায় পাখি? একাকী তুমিই সারাদিন

বিহঙ্গ…….বিহঙ্গ বলে অবিকল পাখির মতন

চঞ্চুর সবুজ লতা রাজপথে হারিয়ে এসেছো!

অথচ পাওনি কিছু, না-ছায়া না-পল্লবের ঘ্রাণ

কেবল দেখেছো শুধু কোকিলের ছদ্মবেশে সেজে

পাতার প্রতীক আঁকা কাইয়ুমের প্রচ্ছদের নিচে

নোংরা পালক ফেলে পৌর-ভাগাড়ে ওড়ে নগর-শকুন।কে জানে ফিরলো কেন? তাকে দেখে

কিষাণেরা অবাক সবাই।

তাড়াতাড়ি নিড়ানির স্তূপাকার জঞ্জাল সরিয়ে

শস্যের শিল্পীরা এসে আলের ওপরে কড়া তামাক সাজলো।

একগাদা বিচালি বিছিয়ে দিতে দিতে

কে যেন ডাকলো তাকে, সস্নেহে বললো, বসে যাও-

লজ্জার কি আছে বাপু, তুমি তো গাঁইয়েরই ছেলে বটে

আমাদেরই লোক তুমি। তোমার বাপের

মারফতির টান শুনে বাতাস বেহুঁস হয়ে যেতো।

পুরোনো সে কথা উঠলে এখনও দহলিজে

সমস্ত গাঁয়ের লোক নরম, নীরব হয়ে শোনে।

সোনালি খড়ের স্তূপে বসতে গিয়ে

প্রত্যাগত পুরুষ সে-জন

কী মুষ্কিল! দেখলো যে, নগরের নিভাঁজ পোশাক

খাঁমচে ধরছে হাঁটু। ঊরতের পেশী থেকে সোজা

অতদূর কোমর অবধি

সম্পূর্ণ যুবক যেন বন্দী হয়ে আছে এক নির্মম সেলাইয়ে।

যা কিনা এখন তাকে স্বজনের সাহচর্যে, আর

দেশের মাটির বুকে, অনায়াসে

বসতেই দেবে না।

তোমাকে বসতে হবে এখানেই, এই ঠান্ডা

ধানের বাতাসে।

আদরে এগিয়ে দেওয়া হুঁকোটাতে সুখটান মেরে

তাদের জানাতে হবে কুহুলি পাখির পিছু পিছু

কতদূর গিয়েছিলে পার হয়ে পানের বরোজ!

এখন কোথায় পাখি? একাকী তুমিই সারাদিন

বিহঙ্গ…….বিহঙ্গ বলে অবিকল পাখির মতন

চঞ্চুর সবুজ লতা রাজপথে হারিয়ে এসেছো!

অথচ পাওনি কিছু, না-ছায়া না-পল্লবের ঘ্রাণ

কেবল দেখেছো শুধু কোকিলের ছদ্মবেশে সেজে

পাতার প্রতীক আঁকা কাইয়ুমের প্রচ্ছদের নিচে

নোংরা পালক ফেলে পৌর-ভাগাড়ে ওড়ে নগর-শকুন।